স্বদেশ ডেস্ক:
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর নিম্নমুখী থাকায় দেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতুর দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলংকার কিনতে হবে ৭৩ হাজার ৮৩৩ টাকায়। নতুন দর আজ বুধবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর আগস্ট স্বর্ণের দাম ভরিতে সাড়ে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বৃদ্ধি করেছিল সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩ হাজার ৮৩৩ দশমিক ১২ টাকা। ভরিতে দাম কমেছে ২ হাজার ৫০৭ দশমিক ৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ৬৮৩ দশমিক ৮৪ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এর দাম ছিল ৭৩ হাজার ১৯১ দশমিক ৬০ টাকা। দাম কমেছে ২ হাজার ৫০৭ দশমিক ৭৬ টাকা।
একই ভাবে ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম পড়বে ৬১ হাজার ৯৩৫ দশমিক ৮৪ টাকা। আগে দাম ছিল ৬৪ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৬০ টাকা। ভরিতে কমেছে ২ হাজার ৫০৭ দশমিক ৭৬ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণ প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৬১৩ দশমিক ২০ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত দাম ছিল ৫৪ হাজার ১২০ দশমিক ৯৬ টাকা। প্রতি ভরির দাম রয়েছে দাম কমেছে ২ হাজার ৫০৭ দশমিক ৭৬ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম।
বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ হাজার ২২৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতিতে প্রতি ভরির দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের বাজারে এতদিন সনাতন পদ্ধতিতে রূপার ভরি বিক্রি হতো ৯৩৩ টাকায়। নতুন করে রূপার ক্যারেট শ্রেণি বিন্যাস করে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজুস।
কয়েক মাস ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর ঊর্ধ্বমুখী। সেই কারণে দেশের বাজারেও দফায় দফায় দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত ২৩ জুন স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫ হাজার ৮২৫ টাকা, গত ২৪ জুলাই ২ হাজার ৯১৬ টাকা এবং ৬ আগস্ট ৪ হাজার ৪৩৩ টাকা বৃদ্ধি করে জুয়েলার্স সমিতি। তারপর দুই দফায় কমে ৪ হাজার ৯৫৮ টাকা। অবশ্য হঠাৎ করেই বিশ্ববাজারে দাম কমতে থাকে স্বর্ণের দাম। গত শুক্রবার প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৭১ ডলার। মঙ্গলবার সেটি কমে ১ হাজার ৮০৫ ডলার হয়।
যদিও স্বর্ণের দাম কমানোর বিষয়ে জুয়েলার্স সমিতি বলেছে, বৈশ্বিক স্থবিরতা, ডলার ও তেলের দরপতন, আন্তর্জাতিক স্বর্ণের বাজারে নজিরবিহীন উত্থান-পতন সত্ত্বেও দেশীয় বাজারের মন্দাভাব ও ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও স্বর্ণের দাম আড়াই হাজার টাকা কমানো হলো।